Wednesday, October 5, 2022

কনটেন্ট রাইটিং এর এ টু জেড

 কনটেন্ট রাইটিং এর এ টু জেডঃ


এ লেখাটি পড়ে আপনি কনটেন্ট রাইটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। অর্থাৎ কনটেন্ট রাইটিং নিয়ে আপনার মনের মধ্যে যে বিষয়গুলো উঁকি দেয়, আমার এ লেখা পুরোপুরি পড়ার মাধ্যমে আশা করি আপনার মনের প্রশ্নগুলোর উত্তর পেয়ে যাবেন।


আসুন তাহলে শুরু করা যাকঃ

প্রথমেই আমরা জানবো কনটেন্ট রাইটিং কাকে বলে?

কনটেন্ট ইংরেজি শব্দ যার আভিধানিক বাংলা অর্থ হচ্ছে বিষয়বস্তু। কনটেন্ট হলো অন্যের কাছে কোন বিষয়বস্তুকে বোধগম্য করার জন্য বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করার মাধ্যম বা প্রক্রিয়া। অর্থাৎ বিভিন্ন উৎস বা সূত্র থেকে সংগৃহীত তথ্য উপাত্ত সুন্দর করে উপস্থাপন করার মাধ্যম পাঠকের কাছে বোধগম্য করা। উপস্থাপন প্রক্রিয়া বা মাধ্যম  যেটাই হোক না কেন সব প্রক্রিয়া বা মাধ্যমকেই কনটেন্ট বলা হয় যদি সেটি মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে। 


আমরা কি তাহলে যে কোন লেখাকেই কনটেন্ট বলতে পারবো? এক কথায় যদি উত্তর দিই তাহলে বলতে হবে, 'না'। কারণ কনটেন্ট হতে হলে কতগুলো শর্ত পূরণ করতে হবে এবং সে শর্তগুলো হলো 

১) যে কোন সাবজেক্ট বা বিষয় হতে হবে 

২) বিস্তারিত সকল তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করতে হবে এবং 

৩) অবশ্যই আকর্ষনীয় হতে হবে। 


এই কনটেন্ট উপস্থাপন প্রক্রিয়া বা মাধ্যম চার ধরনের হয়, যথাঃ

১) টেক্সট বা লিখিত কনটেন্ট 

২) ভিডিও কনটেন্ট 

৩) অডিও কনটেন্ট এবং 

৪) ইমেজ কনটেন্ট। 


১) টেক্সট বা লিখিত কনটেন্টঃ 

যখন কোন বিষয়ের উপর লিখিত তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করা হয় তখন তাকে টেক্সট বা লিখিত কনটেন্ট বলা হয়। মজার বিষয় হলো বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় কনটেন্ট হলো লিখিত কনটেন্ট। 


২) ভিডিও কনটেন্টঃ 

যখন কোন ভিডিওর মাধ্যমে কোন বিষয়ের তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করা হয় তখন তাকে ভিডিও কনটেন্ট বলা হয়। ভিডিও কনটেন্ট গুলোর মাধ্যমে শিক্ষনীয় বিষয় বা ব্যবসা সংক্রান্ত তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়। 


৩) অডিও কনটেন্টঃ 

যখন কোন অডিওর মাধ্যমে কোন বিষয়ের তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করা হয় তখন তাকে অডিও কনটেন্ট বলা হয়। 


৪) ইমেজ কনটেন্টঃ 

যখন কোন ইমেজের মাধ্যমে কোন বিষয়ের তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করা হয় তখন তাকে ইমেজ কনটেন্ট বলা হয়। 


কনটেন্ট আবার ২ প্রকার, যেমনঃ

১) টিউটোরিয়াল কনটেন্ট এবং

২) প্রোডাক্ট রিভিউ কনটেন্ট। 


১) টিউটোরিয়াল কনটেন্টঃ

যে কনটেন্ট এর মাধ্যমে কোন একটি বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়। অর্থাৎ টিউটোরিয়াল কনটেন্ট থেকে আমরা অনেক তথ্য উপাত্ত জানতে পারি এবং শিখতে পারি।


২) প্রোডাক্ট রিভিউ কনটেন্টঃ যখন কেউ কোন কনটেন্ট সম্পর্কে তার নিজের ধারণা অন্যের কাছে প্রকাশ করে অর্থাৎ কনটেন্ট এর ভালো বা খারাপ দিক সম্পর্কে মন্তব্য করাকেই প্রোডাক্ট রিভিউ কনটেন্ট বলে। 


এবার আমরা জানবো কনটেন্ট রাইটিং কি?

কনটেন্ট রাইটিং হলো বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা যোগাযোগ মাধ্যমে কোন বিষয়বস্তুকে আকর্ষনীয়ভাবে উপস্থাপন করা বা তুলে ধরা। আর যিনি এই কাজ করেন তাকে কনটেন্ট রাইটার বলা হয়।


আপনি যদি একজন ভালো কনটেন্ট রাইটার হতে চান তাহলে এ বিষয়গুলোর দিকে নজর রাখতে হবে। 

১) বাংলা বা ইংরেজি যে কোন ভাষায় কনটেন্ট লেখা যায় তবে সে ভাষা এবং ব্যাকরণ সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। 

২) সহজ সরল ভাষায় লিখতে হবে যেন পাঠক সহজেই বুঝতে পারে।

৩) লেখার মধ্যে বৈচিত্র্য থাকতে হবে। 

৪) নির্ভূল ভাবে লেখা শেষ করতে হবে অর্থাৎ বানানে যেন কোন ভুল না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। 


কিভাবে ভালো কনটেন্ট তৈরি করতে পারবেন? 

ভালো বা উন্নতমানের কনটেন্ট তৈরি করতে হলে অবশ্যই নিচের বিষয়গুলোর দিকে নজর রাখতে হবে। 

১) ভালো ভালো কনটেন্ট পড়ে সেই বিষয়ে সম্যক ধারণা নিতে হবে। 

২) অন্যের কনটেন্ট কপি না করে নিজের মতো করে লিখতে হবে। 

৩) শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে কোন তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করা যাবেনা। 

৪) তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করতে হলে অবশ্যই তথ্যসূত্র উল্লেখ করতে হবে। 

৫) বড়ো বড়ো প্যারাগ্রাফে না লিখে ছোটো ছোটো প্যারায় লিখতে হবে। 


কনটেন্ট রাইটিং কে কিভাবে পাঠকের কাছে আকর্ষনীয় ভাবে তুলে ধরবেন? 

কনটেন্ট রাইটিং কে পাঠকের কাছে আকর্ষনীয় করার জন্য চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে। 

১) কনটেন্ট এর একটি সুন্দর হেডলাইন দিতে হবে যাতে পাঠক হেডলাইন দেখেই কনটেন্টটি পড়তে উৎসাহিত হয়।

২) কনটেন্ট এর একটি সুন্দর সূচনা বক্তব্য থাকতে হবে। 

৩) বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করতে হবে। 

৪) অনুপ্রেরণামুলক বক্তব্যের মাধ্যমে কনটেন্ট এর সমাপ্তি টানা।


বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এ এক বিশাল স্থান জুড়ে রয়েছে কনটেন্ট রাইটিং। আর এজন্যই কনটেন্ট রাইটিং কে কিং বলা হয়। আমরা একজন ভালো কনটেন্ট রাইটার হয়ে অনেক দেশি এবং বৈদেশিক মুদ্রা অায় করতে পারি এবং দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারি। এজন্য যে অনেক কিছু দরকার তা কিন্তু নয় শুধুমাত্র আমাদের ইচ্ছাশক্তি দরকার। 


তাই আসুন একজন ভালো কনটেন্ট রাইটার হয়ে নিজে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হই এবং দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সে তৌফিক দান করুন। আমিন।


ধন্যবাদ।


শুভ সকাল। একটি সুন্দর দিনের অপেক্ষায়।

কনটেন্ট রাইটিং এর এ টু জেড

  কনটেন্ট রাইটিং এর এ টু জেডঃ এ লেখাটি পড়ে আপনি কনটেন্ট রাইটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। অর্থাৎ কনটেন্ট রাইটিং নিয়ে আপনার মনের মধ্যে ...